|| মানবীয় গুণাবলী অর্জন ও আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভের কেন্দ্রস্থল হলো বিদ্যাপীঠ। এখানে শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ত্রিবেণী মেলবন্ধনে পূর্ণমাত্রা পায়। যোগ হয় সুনসান পরিবেশ। জীবনের বৈচিত্র্য, গতি, প্রত্যাশা এবং আত্মানুসন্ধানে পথের সৃষ্টি হয়। সবসময় মানুষ তার শেকড়ের কাছে নত হয় কারণ সেখানে তাঁর অস্তিত্ব বিদ্যমান। সে ধারণা প্রসূত হয়ে সৃষ্টিশীল ও মানবিক কায়দায় গুণী মানুষ উদ্যমী হয়। ১৯৮৭ খ্রি. ইতিহাস-ঐতিহ্য খ্যাত সুপ্রাচীন জনপদ চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় গড়ে ওঠে সূচীপাড়া মহাবিদ্যালয়। শিল্পশরীর গঠনে এবং উচ্চশিক্ষা বিস্তারে নামকরণ হলো সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজ।
উদ্যমী শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগীদের মেধা-শ্রম ও সংস্পর্শে মৌলিক শিক্ষা কার্যক্রম বেশ প্রশংসনীয়। প্রতিবছরই একঝাঁক মেধাবী মুখ তাঁদের জীবন প্রণালী খুঁজে পায়, দেখে আশার আলো। পাঠদানের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম, সংস্কৃতিচর্চা, স্কাউটিং, শিল্পসাহিত্য এবং বিতর্ক অনুশীলনেও রয়েছে ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডের অংশবিশেষ। তাই নানামুখী সফলতায় শিক্ষাঙ্গন এখন স্বতন্ত্রকাঠামোয় সুপ্রতিষ্ঠিত।
সাম্প্রতিক ডিজিটালাইজেশন প্রবাহে শিক্ষা কার্যক্রমকে বেগবান ও সমৃদ্ধকরণ সময়ের দাবি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ ই-শিক্ষণের সমন্বয়ে নিয়মিত পরিচর্যা করে যাচ্ছে। সুচিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি আরও সুচারু হলে এ প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে উন্নীতকরণ সম্ভব।
এক্ষেত্রে এলাকাবাসী, গভর্নিং বডি, শিক্ষকবৃন্দ যথেষ্ট আন্তরিক ও নীতিপরায়ণ। এ ধারা বহমান থাকলে আমার বিশ্বাস জ্ঞান আরশিতে প্রতিবিম্বিত হয়ে কলেজটি হবে স্বমহিমায় দীপ্তমান। এটিই সকলের প্রত্যাশা ও সুচিন্তা।
মো. মোস্তাফিজুর রহমান
অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত)
সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজ
শাহরাস্তি, চাঁদপুর।